মশ্বীমনগর প্রাইমারি স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে যশোর মুসলিম একাডেমিতে ভর্তি হই। মুসলিম একাডেমি স্কুলটি জেলা কালেক্টরেট এবং এসপি অফিস এর মাঝে। পুরাতন কসবা স্মিথ রোডের আমাদের পৈত্রিক বাসা হতে ১ কিলোমিটার দূরে। পুরাতন কসবা ওই বাসায় থেকে আমি এবং আমার বড় বোন পড়াশোনা করেছি। নিজেরা রান্নাবান্না কাপড় কাচা থেকে শুরু করে সকল কাজ করতে হত। জীবনের শুরু থেকে এটা হাতে খড়ি। গ্রামের বাড়িতে আব্বার কড়াকড়ি এবং যশোরের বাসায় বড় বোনের অন্তত তার দ্বিগুণ কড়াকড়ি। প্রাযশঃ আমাকে মারধর করত। স্কুলে সকাল দশটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত নিরানন্দ পরিবেশে টেবিলের উপর লাঠিতে চোখ রেখে বসে থাকতে হতো। প্রাথমিক স্কুল আনন্দপূর্ণ হলেও মাধ্যমিক স্কুল আমার কাছে আকর্ষণীয় ছিল না। স্কুল এবং বাসা দুটি সমভাবে নিরানন্দ এবং আতঙ্কের স্থান ছিল। এ ভাবেই দিন কাটছিল। গ্রামের বাড়ি থেকে চাল ডাল সকল সরঞ্জাম এনে আমরা থাকি। বাড়ি থেকে নয় মাইল হেঁটে থানা সদরে আসতে হতো। সেখান থেকে বাস ধরে যশোর আসতে হতো। আমাদের বাসার গায়ে জঙ্গলে শিয়ালের উপদ্রব ছিল।
পাড়ার ছেলেরা রাতে আমাদেরকে ভয় দেয়ার চেষ্টা করত। এভাবেই দিন কাটাতে কাটাতে স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হল। মিছিলে ছোট বাচ্চারাও অংশগ্রহণ করত। মিছিলে আমরা বেশ আনন্দ পেতাম, বিশেষত একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য আমরা উদগ্রীব হয়ে থাকতাম। ১৪ আগস্ট আমার জন্য আকর্ষণীয় ছিল; ফ্রি ট্রেন ভ্রমণ করা যেত। একবার ক্লাস সেভেনে থাকতে ১৪ আগস্টের ট্রেনে চেপে বসেছি। ট্রেন পার্বতীপুর পর্যন্ত গেছে। রাস্তা চেনা ছিল না। পকেটের পয়সাও শেষ। খাবার জন্য কিছুই ছিল না। খুলনার একজন সহৃদয় ব্যক্তি আমাকে সেখান থেকে নিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছিলেন। বাড়িতে আসলে বেদম মারপিট করলো। আবার বাড়ি থেকে পালালাম। স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে উত্তাল যশোর। লেখাপড়ায় ভাল হচ্ছেনা, আবার দেশের অবস্থাও অনিশ্চিত। আব্বা হয়তো বড় ধরনের গোলযোগ আশঙ্কা করেছিলেন। তাই স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগেই বাড়িতে নিয়ে গেলেন।
পাড়ার ছেলেরা রাতে আমাদেরকে ভয় দেয়ার চেষ্টা করত। এভাবেই দিন কাটাতে কাটাতে স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হল। মিছিলে ছোট বাচ্চারাও অংশগ্রহণ করত। মিছিলে আমরা বেশ আনন্দ পেতাম, বিশেষত একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য আমরা উদগ্রীব হয়ে থাকতাম। ১৪ আগস্ট আমার জন্য আকর্ষণীয় ছিল; ফ্রি ট্রেন ভ্রমণ করা যেত। একবার ক্লাস সেভেনে থাকতে ১৪ আগস্টের ট্রেনে চেপে বসেছি। ট্রেন পার্বতীপুর পর্যন্ত গেছে। রাস্তা চেনা ছিল না। পকেটের পয়সাও শেষ। খাবার জন্য কিছুই ছিল না। খুলনার একজন সহৃদয় ব্যক্তি আমাকে সেখান থেকে নিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছিলেন। বাড়িতে আসলে বেদম মারপিট করলো। আবার বাড়ি থেকে পালালাম। স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে উত্তাল যশোর। লেখাপড়ায় ভাল হচ্ছেনা, আবার দেশের অবস্থাও অনিশ্চিত। আব্বা হয়তো বড় ধরনের গোলযোগ আশঙ্কা করেছিলেন। তাই স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগেই বাড়িতে নিয়ে গেলেন।



