1. ডিমান্ড থাকলে সাপ্লাই থাকবে সেটা বৈধভাবে হোক আর অবৈধভাবে হোক। কোচিং এর ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য।2. ২০১২ সালের কোচিং নীতিমালার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের করা একটি রিটের প্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ২০ জুন হাইকোর্ট কোচিং একটি নতুন অপরাধ বলে উল্লেখ করেছে- বিচারপতি হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজীব আল জলিল। ২০১৯ সালে হাইকোর্ট কোচিং নতুন অপরাধ বলে উল্লেখ করেছে। দুদক সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে তদন্ত করতে পারবেন কিন্তু বেসরকারিদের ক্ষেত্রে নয়।3. সহায়ক বই প্রয়োজন তবে এই সহায়ক বই জাতীয় পাঠ্যপুস্তক ও কারিকুলাম বোর্ড এর মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে। এবং প্রতিবছর রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে যাতে কোন নিম্নমানের বই প্রকাশিত না হয়।4. জাতীয় কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বর্তমানে যে সব বই তৈরি করে থাকে সেগুলো প্রাইভেট লেখকদের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিত। এর ফলে বহু দক্ষ লেখক বেরিয়ে আসবে। বইয়ের নিম্নমানের ডামাডোল থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে। তবে বোর্ড এসব বইয়ের অনুমোদন অথরিটি হিসেবে কাজ করবে।5. ১৯৮০ সালের আইনে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত নোট গাইড নিষিদ্ধ করা হয়েছে6. একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বন্ধ করতে না পারলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনোযোগ দিয়ে শিক্ষকরা লেখাপড়া করবেন না। টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে দেখেছি কোন কোন শিক্ষক কোচিং না করলে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করেন। আমি নিজেও সরাসরি অনেকের অভিযোগ শুনেছি।7. কিছু শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষার খরচ মেটানোর জন্য প্রাইভেট পড়ান। এই প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ করা সঠিক হবে না। এটা পরোক্ষভাবে শিক্ষাকে সহায়তা করে এবং পরবর্তীকালে শিক্ষক হতে অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়ক।8. গাইড বইকে সংজ্ঞায়িত করা সোজা না। আমি মনে করি এই বিষয়টি জাতীয় কারিকুলাম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কাছে থাকা উচিত আইনের ভিতরে এটি লেখা হলে এটা সহজে পরিবর্তনের নিয়ম নয় এবং তার অপব্যবহার হবে। আমরা যেটা স্পেশাল পাওয়ার সেক্টরে দেখেছি।9. কোচিং এর যারা শিক্ষক তারা যাতে প্রশিক্ষণ ছাড়া কোচিং না করতে পারেন এই বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার।10. কোচিং সেন্টারে ট্রেড লাইসেন্স আগে বন্ধ করতে হবে। সেজন্য ছুটি কর্পোরেশনের সাথে আলোচনায় আসতে হবে।
Share this post