প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ জীবনে কখনো কোন সেমিনার-সিম্পোজিয়াম হতে দেখেনি। যদিও রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনা অনুষ্ঠান করেছে। বিশেষত তাদের কর্মীদের জন্য ওয়ার্কশপের ব্যবস্থা করত। কিন্তু স্কুল জীবনে এসব কিছু হতো না। কলেজ জীবনের একই দশা। এখনো এদিকে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসেনি। স্কুল কলেজ জীবনে সেমিনার-সিম্পোজিয়াম না থাকার কারণে তারা দেশ-বিদেশের স্বনামধন্যদের সাথে মিথস্ক্রিয়ার কোন সুযোগ পান না। এমনকি তাদের চিন্তা এবং মতামত অন্যের কাছে তুলে ধরার সুযোগ পান না। রাজনৈতিক দলগুলোর সংগঠন হিসাবে ছাত্ররাজনীতির সুবাদে রাজনৈতিক আলাপ আলোচনা হলেও বড় বড় নেতাদের কলেজ এড়িয়ে চলতে দেখা যায়।
কলেজগুলোতে শেখা-শেখানোর ধরণের পরিবর্তন ও আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগ প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে নিয়মিত সেমিনার সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা দরকার। এজন্য অর্থ কোন বাধা না। এখন ব্যবসা জগতের অনেকেই স্পন্সর করতে এগিয়ে আসবে। শিক্ষকদের জন্য বিষয়টি আরও সোজা। বড় বড় ব্যবসায়ীদের কেউ হয়তো ওই কলেজের নতুবা কোন শিক্ষকের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সংখ্যায় নগণ্য হলেও কিছু অনুষ্ঠান দেখা যেত যেমন বিজ্ঞান মেলা। বিভাগ অনুযায়ী মেলার ধরন ভিন্ন হতো। যেমন উদ্ভিদ বিজ্ঞান আয়োজিত মেলা উদ্ভিদ বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় তুলে ধরা হতো। শিক্ষার্থীরা রাত জেগে স্টলগুলো সাজাতো, বিভিন্ন বিষয় গুলো বিচিত্র রঙে চিত্র, diagram ও বর্ণনার মাধ্যমে সহজবোধ্য করে তুলে ধরা হতো। এ সময় টায় বিভিন্ন বিভাগ কে কি করছে তুলে ধরার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিতো। এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যেত। এই মেলা হওয়ার কারণে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা পরিচিত হতে। দুর্বোধ্য বিষয়গুলো শিক্ষার্থীরা সহজে বুঝতে পারত। সমস্ত বিভাগজুড়ে বিয়ে বাড়ির মত আনন্দ ছড়িয়ে পড়তো।
কলাষদের জন্য এমন একটা অনুষ্ঠানে দেখা যেত না। আজকাল অবশ্য এসব সেমিনারের পরিসর অনেক বেড়েছে। তবে এগুলো বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে প্রতিষ্ঠানের আয়োজিত। বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত সেমিনার সিম্পোজিয়ামের সংখ্যা এখনো হাতে গোনা। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান তথা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজর দেয়া দরকার।


